কিভাবে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয় করা হয়

ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়ের নিয়মাবলী

হিসাববিজ্ঞানের শুরুতে হিসাব বিজ্ঞানের ইতিহাস, হিসাব বিজ্ঞানের জনক লুকা প্যাসিওলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর লেনদেন সম্পর্কে ধারণা নিতে গিয়ে প্রথমে ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা হয়েছে।

জানতে পারলাম যে, হিসাববিজ্ঞান প্রথমে কোন ঘটনা সৃষ্টি হবে সেই সব ঘটনা থেকে লেনদেন সৃষ্টি হবে। রাখা প্রয়োজন ঘটনা সৃষ্টি হলে লেনদেন হবে না বিষয়টি আর্থিক সম্পর্কিত হতে হবে। এটি একটি লেনদেনের গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য।

মনে রাখার সুবিধার জন্য বলা যেতে পারে,
 "সকল ঘটনাই লেনদেন নয়,
  সকল লেনদেন এই ঘটনা "

হিসাববিজ্ঞানের প্রাথমিক পর্যায়ের ঘটনার পরে লেনদেন এবং তারপর সেই সব লেনদেন গুলো নিয়েই ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়।
সুতরাং হিসাববিজ্ঞানের শুরুতে ঘটনা সম্পর্কে জানতে হবে তারপর লেনদেন সম্পর্কে জানতে হবে তারপর ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয় শিখতে হবে।


ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়মাবলীঃ


দুইটি পদ্ধতিতে ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করা হয়।

(১)  সনাতন পদ্ধতি।

(২)  আধুনিক পদ্ধতি।

সনাতন পদ্ধতিঃ
মূলত পুরাতন পদ্ধতিকেই সনাতন পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনেক আগে থেকেই প্রচলন। সনাতন কে অনুকরন করে আধুনিক পদ্ধতি সৃষ্টি করা হয়।

সনাতন পদ্ধতি কে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথাঃ

(১) ব্যক্তিবাচক হিসাব।
(২) সম্পত্তিবাচক হিসাব।
(৩) নামিক হিসাব।

ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সুবিধা গ্রহণ করে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ডেবিট করা হয় এবং কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সুবিধা প্রদান করে তাহলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ক্রেডিট করা হয়।

accounting,ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়

উদাহরণঃ
সোনালী ব্যাংকে হিসাব খোলা হল ১,০০০ টাকা।

এই লেনদেনের সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংক তাই সোনালী ব্যাংক হিসাবের ডেবিট এবং যেহেতু নগদে সুবিধা  প্রদান করেছে সে ক্ষেত্রে নগদান হিসাব ক্রেডিট।

সম্পত্তিবাচক হিসাবঃ
প্রতিষ্ঠানে কোন লেনদেনের ফলে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং সম্পত্তি হ্রাস পেলে ক্রেডিট করা হয়।

হিসাব বিজ্ঞান,accounting,ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়


উদাহরণঃ
যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হলো ৩,৫০০ টাকা।

 যেহেতু যন্ত্রপাতি সম্পত্তি হিসেবে আগমন হয়েছে বা বৃদ্ধি পেয়েছে সে ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি হিসাব ডেবিট এবং অন্যদিকে নগদ টাকা (সম্পদ) চলে গিয়েছে সে ক্ষেত্রে নগদান হিসাব ক্রেডিট।

নামিক হিসাবঃ
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন লেনদেন গুলোর মধ্যে যেসব লেনদেনগুলো ব্যয় খরচ বুঝায় এবং আয় মুনাফা বুঝায় সেইসব লেনদেনগুলো নিয়ে নামিক হিসাব গঠিত। ব্যয়/খরচ বুঝালে নামিক হিসাবে ডেবিট করা হয় এবং আয় মুনাফা বুঝালে নামিক হিসাবের ক্রেডিট করা হয়।


নামিক হিসাবে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়

উদাহরনঃ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন