ব্যক্তিবাচক হিসাব | সম্পত্তিবাচক হিসাব | নামিক হিসাব

আলোচ্য বিষয়ঃ

(১)  ব্যক্তিবাচক হিসাবের বিশদ আলোচনা।
(২) সম্পত্তিবাচক হিসাব এর বিশদ আলোচনা।
(৩) নামিক হিসাব এর বিশদ আলোচনা। 

ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে ব্যক্তিবাচক হিসাব, সম্পত্তিবাচক হিসাব, নামিক হিসাব কাকে বলে। এগুলো সম্প্রকে মোটামুটি ধারনা হয়েছে। ব্যক্তিবাচক হিসাবের কিভাবে ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়, সম্পত্তিবাচক হিসাবের কিভাবে ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়, নামিক হিসাবের ডেবিট ক্রেডিট কিভাবে নির্ণয় করতে হয় এগুলা আলোচনা করা হয়ে গেছে।

ব্যক্তিবাচক হিসাব, সম্পত্তিবাচক হিসাব, নামিক হিসাব এগুলো বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীর জানা আবশ্যক।
Cleck hear: https://ray296.blogspot.com


ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
ব্যক্তিবাচক হিসাব কে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।

(১) স্বাভাবিক ব্যক্তিবাচক হিসাব।
(২) কৃত্তিম ব্যক্তিবাচক হিসাব।
(৩) প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যক্তিবাচক হিসাব।



 স্বাভাবিক ব্যক্তিবাচক হিসাবঃকোন লেনদেনে কোন ব্যক্তির নামে হিসাব খোলা হয়েছে বুঝালে তাকে স্বাভাবিক ব্যক্তিবাচক হিসাব বলে।
যেমনঃ রহিমের হিসাব, সুমনের হিসাব, রায় হিসাব ইত্যাদি।


কৃত্তিম ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় অনেক ধরনের হিসাব সংঘটিত হয়ে থাকে। যখন কোন প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খোলা হয়, তাকে কৃত্রিম ব্যক্তিবাচক হিসাব বলে।
 যেমনঃরহিম স্টোর,সুমন মেসার্স রুপালী ব্যাংক ইত্যাদি।


প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও প্রতিনিধিমূলক হিসাব সংঘটিত হয়ে থাকে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে যে হিসাব খোলা হয়, তাকে প্রতিনিধিত্বমূলক হিসাব বলে।
 যেমনঃঅগ্রিম বেতন, বকেয়া ভাড়া ইত্যাদি।

সম্পত্তিবাচক হিসাবঃ

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যেসব সম্পদগুলো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করে সেই সেইসব উপাদানগুলোকে সম্পদ বলা হয়।সম্পদগুলোকে  বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হলোঃ


 স্পর্শনীয় সম্পদঃ

সাধারণত যেসব সম্পদ ধরা যায়, দেখা যায়, ছোঁয়া যায় সেই সব সম্পদগুলোকে স্পর্শনীয় সম্পদ বলে।
 যেমনঃ  দালানকোঠা, কলকব্জা, ভূমি ইত্যাদি।


অস্পর্শনীয় সম্পদঃ
যেসব সম্পদ ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, দেখা যায় না সেইসব সম্পদগুলোকে অস্পর্শনীয় সম্পদ বলে। যেমনঃ সুনাম, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি।


অলীক সম্পদঃ যে সমস্ত সম্পদের কোন বাজার মূল্য নেই  তাকে অলীক সম্পদ বলে।
যেমনঃশেয়ারবাট্টা, প্রাথমিক খরচ ইত্যাদি।



স্থায়ী সম্পদঃ
যেসব সম্পদগুলো এক বছরের অধিক সুবিধা প্রদান করে সেইসব সম্পদগুলোকে স্থায়ী সম্পদ বলে। যেমনঃ আসবাবপত্র, দালানকোঠা, কম্পিউটার ইত্যাদি।



চলতি সম্পদঃ
যে সমস্ত সম্পদের উপকারিতা এক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যায় সেইসব সম্পদগুলোকে চলতি সম্পদ বলে। যেমনঃ দেনাদার হিসাব, নগদান হিসাব ইত্যাদি।



দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগঃ
প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যেসব অর্থের প্রয়োজন তার থেকে বেশি অর্থ থাকলে সেই অর্থকে অলস টাকা বলা হয়। সেই অলস টাকা কে লাভের আশায় অন্য কারো দারায় খাটানো কে বিনিয়োগ বলে।
যেমনঃ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ।



অন্যান্য সম্পদঃ
উপরিক্ত সম্পদ ছাড়াও আরো কিছু সম্পদ আছে  সেইসব সম্পদ গুলো অন্যান্য সম্পদ ও সমন্বিত খরচ  হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
অথবা, কয়েকটি হিসাব কালের জন্য কিছু খরচ কে ভাগ করে দেখানো হলে সেই সব খরচ গুলোই অসমন্বিত খরচ বা অন্যান্য সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যেমনঃ বিলম্বিত বিজ্ঞাপন, প্রাথমিক খরচ, শেয়ারবার্তা ইত্যাদি।


নামিক হিসাবঃ
প্রতিষ্ঠান চালনা করতে বিভিন্ন ধরনের খরচ হয় এবং তার বিপরিতে আয় হয়ে থাকে সেই সব খরচ এবং আয় গুলোকে নামিক হিসাব বলে।

খরচগুলোর মধ্যে যেমনঃ বেতন হিসাব, বীমা হিসাব, অবচয় হিসাব, ঋণের সুদ ইত্যাদি।

আয়গুলোর মধ্যে যেমনঃ বিক্রয় হিসাব, লভ্যাংশ প্রাপ্তি হিসাব, প্রাপ্ত কমিশন, শিক্ষানবিশ সেলামি  বিনিয়োগের সুদ ইত্যাদি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন