লেনদেন কি?
লেনদেন সম্পর্কে জানতে গেলে সর্বপ্রথম ঘটনা সম্পর্কে জানতে হবে। 
ঘটনা কি? কিভাবে ঘটে? কারণ লেনদেন ঘটনার সাথে সম্পূর্ণ পরিপূর্ণভাবে জড়িত। কেউ লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাইলে ঘটনা সম্পর্কে তার পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে।কারণ প্রথমে ঘটনা ঘটবে তারপর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেনদেনে পরিনত হবে।

ঘটনা কি?
ঘটনা হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা যে কোন সময় সংঘটিত হতে পারে।  যেমনঃ প্রতিদিন কাজকর্ম করা, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া, কলম ক্রয় করা ইত্যাদি।
তবে হিসাববিজ্ঞানে ঘটনাকে একটু ভিন্ন ভাবে বিবেচনা করা হয়। হিসাববিজ্ঞানের যেসব ঘটনাগুলো সংঘটিত হয় সেইসব ঘটনাগুলো অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য হতে হবে। আর যেসব ঘটনাগুলো অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য সেইসব ঘটনাগুলো লেনদেনে পরিণত হয়। 

আর সেজন্যই ঘটনাকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।     (১) আর্থিক ঘটনা। 
    (২) অনার্থিক ঘটনা।
আর্থিক ঘটনাগুলোর মধ্যে যেমনঃ আসবাবপত্র ক্রয়, আলমারি বিক্রয়, ব্যাংক হিসাব খোলা ইত্যাদি।

 অনার্থিক ঘটনাগুলো হচ্ছে অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপ যোগ্য নয়।  
যেমনঃ কোন প্রতিষ্ঠানে
একজন কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন,
পন্য ক্রয়ের জন্য ফরমায়েশ প্রদান করা হয় ইত্যাদি। 

এগুলো প্রত্যেকটায় ঘটনা তবে আর্থিক  কোনো সম্পর্ক যুক্ত না থাকায় অনার্থিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয় সুতরাং "সকল ঘটনাই লেনদেন নয়"

সুতরাং বলা যায় যে, অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য যেসব ঘটনা সেইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেনদেনের সৃষ্টি হয়। আর সেই সব ঘটনা গুলোকে আমরা লেনদেন বলি।

হিসাব বিজ্ঞান,hsc accounting,লেনদেন

লেনদেনের বৈশিষ্ট্যঃ
লেনদেনের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে সেইসব বৈশিষ্ট্য গুলো জানা থাকলে খুব দ্রুত চেনা যায় লেনদেন কি-না। সুতরাং লেনদেন সম্পর্কে জানতে গেলে লেনদেনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা থাকা অতি প্রয়োজন। 

(১) আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কোন ঘটনাকে লেনদেন বলা যাবে তখনই যখন ওই ঘটনাটা তে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। যদি আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে কিংবা আর্থিক সম্পর্কযুক্ত কোন ঘটনা যদি না হয় তাহলে সেই সব ঘটনাকে লেনদেন বলা যাবে না।

(২) অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।
যেসব ঘটনা গুলো অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য সেই সব ঘটনা গুলো  কে লেনদেন বলে।

(৩) দ্বৈত সত্তা
দ্বৈত সত্তা হচ্ছে দুইটি পক্ষ এখানে বলা হচ্ছে লেনদেনের দুটি পক্ষ থাকবে।
একটি আর্থিক ঘটনা দুইটি পক্ষ অবশ্যই থাকবে।
একটি ঘটনার দুটি পক্ষ যদি না থাকে তাহলে সেই ঘটনাকে কখনোই লেনদেন হতে পারে না।
  সুতরাং লেনদেন হতে গেলে দ্বৈত সত্ত্বা অবশ্যই থাকতে হবে।

(৪) প্রামাণ্য ঘটনা 
কোন ঘটনা লেনদেন হিসেবে বিবেচনা হতে হলে অবশ্যই প্রমান থাকতে হবে।
যেমনঃ কারবারের জন্য আসবাবপত্র ক্রয় করা হলে, ক্রয় রশিদ প্রদান করে থাকে যা প্রমাণ পত্র হিসেবে গণ্য করা হয়।


উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকলে লেনদেনের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে খুব সহজ হবে এবং সহজেই লেনদেন কি-না চিহ্নিত করতে পারব। এইসব বৈশিষ্ট্য গুলো অতি প্রয়োজনীয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন