কিভাবে উত্তোলনের সুদ নির্নয় করবেন
যথাঃ
১) স্থায়ী মূলধন পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের লাভ বা ক্ষতি যাহা-ই হোক না কেন মূলধনের পরিমান ঠিক থাকে। এই পদ্ধতিতে অংকের তিনটি অংশ থাকে
যথাঃ-
ক) অংশীদারদের লাভলোকসান বন্টন হিসাব
খ) অংশীদারদের মূলধন হিসাব
গ) অংশীদারদের চলতি হিসাব
২) পরিবর্তনশীল মূলধন পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের লাভ বা ক্ষতির সাথে সাথে মূলধনের পরিমান হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে। এই পদ্ধতিতে অংকে করতে দুইটি অংশ থাকে।
যথাঃ
ক) অংশীদারদের লাভলোকসান বন্টন হিসাব
খ) অংশীদারদের মূলধন হিসাব
৩) পুন:সমন্বিত মূলধন পদ্ধতি
এর জন্য পুন:সমন্বিত মূলধন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
এই পদ্ধতিতে অংক সমাধানের তিনটি অংশ থাকে যথাঃ-
ক) প্রারম্ভিক মূলধনঃ মূলত মূলধনের সুদ নির্ণয় করার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন নির্ণয় করে নিতে হয়।
খ) পুন: সমন্বিত লাভলোকসান বন্টন হিঃ বাদ পড়া আয় বা ব্যয়ের সাহায্যে এই হিসাবটি তৈরি করা হয়।
গ) পুন:সমন্বিত মূলধন হিসাবঃ পূর্বে নির্ণীত সমাপনী মূলধনের সাথে বাদ পড়া আয় বা ব্যয় সমন্বয় করে এই হিসাবটি তৈরি করা হয়।
অংশীদারী সংগঠনের অংকগুলো সমাধানের জন্য নিন্মের কতিপয় গুরত্বপূর্ন বিষয় ভালো করে মনে রাখতে হবে।
১) মুনাফা বন্টনের হার দেওয়া না থাকলে সমান হারে বন্টন করতে হবে।
২) ঋনের উপর সুদের হার দেওয়া না থাকলেও ৬% হারে সুদ ধরতে হবে।
৩) বেতন উত্তোলন করেছে বলা থাকলে মূলধন হিসাবে যাবে না। বেতন ডেবিট/ চার্জ করা হয়েছে বলা থাকলে লাভ- লোকসান বন্টন হিসাবে যাবে না।
৪) বেতন আংশিক কারবার হতে আর আংশিক ব্যাক্তিগত ভাবে পরিশোধ করা হলে কারবারের অংশ টুকু লাভলোকসানে ও মূলধন হিসাবে যাবে আর ব্যাক্তিগত অংশটুকু শুধুমাত্র মূলধন হিসাবে যাবে।
৫) উত্তোলনের উপর সুদ ধরতে বললে, উত্তোলনের তারিখ দেওয়া না থাকলে ৬ মাসের সুদ ধরতে হবে।
উত্তোলনের সুদ ধার্য করার নিয়ম:
১) মাসের শুরতে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন সুদের হার ৬.৫ মাসের।
২) মাসের মাঝে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন সুদের হার ৬ মাসের।
৩) মাসের শেষে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন ঢ সুদের হার ৫.৫ মাসের।
৪) ৩ মাস পর পর উত্তোলন করলে, উত্তোলন সুদের হার ২.৫
৫) প্রতি দেড়মাস পর পর উত্তোলন করলে ১.৫ মাসের সুদ ধার্য করতে হবে।
উপরিউক্ত নিয়ম গুলো জানা থাকলে তবেই উত্তোলের সুদ নির্নয় করা সম্ভব এবং নির্ভুল হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন