অতি প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর

 ১। থানা ও উপজেলার মধ্যে পার্থক্য কী?

থানা ও উপজেলা প্রশাসনিক কারনে আলাদা।থানার প্রধান নির্বাহী অফিসার ইনচার্জ (OC) এবং উপজেলার প্রধান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO)।


২। থানা আর মডেল থানা মধ্যে পার্থক্য কি?

থানার প্রধান দায়িত্বে থাকেন ওসি আর মডেল থানার ASP মডেল থানা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত আর থানা সাধারণ অস্ত্রে সজ্জিত। 


৩।কখন বাবার নামের সাথে মায়ের নাম লেখা শুরু হয়?

১৯৯৮ সালের ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের নাম লেখার ঘোষণা দেন এবং ২০০০ সালের ২৭ আগস্ট কার্যকর হয়।আর সার্টিফিকেটে পিতার নামের সাথে মায়ের নাম লেখা চালু হয়-২০০৪ সালে।


৪। Mbps ও MBps এর মধ্যে পার্থক্য কী?

Mbps এর পূর্ণরূপ Megabits per second,যা

সাধারণ ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড।আর MBps এর পূর্ণরূপ Megabytes per second,যা সাধারণ

ফাইল সাইজ বা ডেটার পরিমাণ প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। উলেখ্য,১বাইট সমান ৮বিট।


৫। Depreciation কী?

মুলত ব্যবহারজনিত ক্ষয়ক্ষতির কারণেযন্ত্রপাতি বা অন্য কোনো সম্পত্তির দাম যেটুকু কমে যায়, তাকেই এ সম্পত্তির অবচয় Depreciation বলে।


৬। বামপন্থী ও ডানপন্থী বলতে কী বোঝায় ?

প্রগতিশীল মতবাদ ও সমাজতন্ত্রের এবং ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসীদের বামপন্থী বলে ।অপরপক্ষে গণতান্ত্রিক ,পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা এবং ধর্মীয় প্রতি অতি বিশ্বাসীদের ডানপন্থী বলে।


৭। একাডেমি ও ইনস্টিটিউটের এর মধ্যে পার্থক্য কী ?

সাধারণত মৌলিক , প্রথাগত , কারিগরি বা সামরিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে একাডেমি বলে।যেমন-বাংলা একাডেমি,মেরিন একাডেমি।

অপরপক্ষে পেশাগত উন্নয়নমূলক শিক্ষা প্রদানকারী বা কোন বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট বলে ।যেমন- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।


৮। অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের মধ্যে পার্থক্য কী ?

সাধারণত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এক বা একাধিক দপ্তরকে অধিদপ্তর বলে, যার প্রধান হলেন মহাপরিচালক।


৯। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি ও উপজাতির মধ্যে পার্থক্য কি?

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী / আদিবাসী : কোন এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতি ও তাদের সংস্কৃতিকে বোঝাতে আদিবাসী পদটি ব্যবহৃত হয়। আধুনিক জনগোষ্ঠীর জৈব ও সামাজিক প্রভাবজাত নয় এমন জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলা হয়। উপজাতি এমন জনগোষ্ঠীগুলোকে বুঝায় যারা আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে পারেনি কিন্তু নিজস্ব একটি আলাদা সংস্কৃতি গড়ে তুলেতে সমর্থ হয়েছে।


১০। নদী ও নদের মধ্যে পার্থক্য কী ?

যে সকল নদীর নাম পুরুষবাচক সেগুলো নদ।

যেমন:কপোতাক্ষ নদ , ব্রহ্মপুত্র নদ। 

যে সকল নদীর নাম স্ত্রীবাচক সেগুলো নদী থাকে

যেমন:পদ্মা নদী,মেঘনা নদী।


১১। মহাসাগর,সাগর, উপসাগর , হ্রদের মধ্যে পার্থক্য কী ?

মহাসাগর- বিস্তীর্ন বিশাল জলরাশি যার সীমা নির্ণয় করা প্রায় দু:সাধ্য তাকে মহাসাগর।

সাগর- মহাসাগরে চেয়ে ছোট বিস্তীর্ন জলরাশিকে সাগর বলে ।

উপসাগর- যে সাগরে তিনদিক স্থল সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত তাকে উপসাগর বলে। 

হ্রদ -সাগরের চেয়ে ছোট বিস্তীর্ন জলরাশি। চারদিকে স্থল সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।


১২। জাতীয়তাবাদ কি?

কোন জাতি বা সমাজের জাতীয় সংহতি বজায় রাখাকে জাতীয়তাবাদ বলে।


১৩। ফেডারেশন কি?

ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে কয়েকটি অঙ্গ রাজ্য বা প্রদেশ নিয়ে গঠিত, যার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে সাংবিধানিকভাবে বণ্টন হয়।

যেমন, আমেরিকা,কানাডা ও ভারত।


১৪। রাষ্ট্রদূত কি?

এক রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের প্রেরিত শ্রেনীর কূটনীতিকই হলো রাষ্ট্রদূত।


১৫। হাইকমিশনার কি?

কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সর্বোচ্চ শ্রেনীর কূটনীতিকদের হাইকমিশনার বলা হয়।


১৬। হুইপ কি?

পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের সদস্যদের মধ্যে সংঘবদ্ধ করার দায়িত্বে নিয়োজিত।


১৭। প্রোটোকল কি?

কূটনৈতিক পরিভাষায় একে সাধারণ আন্তর্জাতিক দলিল বুঝায়।আন্তর্জাতিক সভা-সমিতির কার্য বিবরণী।


১৮। স্বায়ত্তশাসন কি?

স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা।


১৯। একনায়কতন্ত্র কি?

একনায়কতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে সরকারের সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত।


২০। গনতন্ত্র কি?

জনগন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শাসনব্যবস্থা, জনগনের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শাসনকার্য পরিচালনা করে।


২১। অধ্যাদেশ কাকে বলে?

জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক জারিকৃত আইন।


২২।রিট আবেদন কী?

রিট শব্দটির অর্থ হলো আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত বিধান বা আদেশ।বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ ধারা মতে,কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যে কারো বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করতে পারেন।


২৩। অভিবাসী ও শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য কী ?

যখন কেউ নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য কোন দেশে শিক্ষা,ব্যবসা, চাকুরি,শ্রম , গবেষণা জন্য স্থায়ী বা অস্থায়ী ভিত্তিতে বসবাসের উদ্দেশ্যে পাড়ী জমায় তখন তাকে অভিবাসী বলে।

রাজনৈতিক, সামাজিক, জাতিগত বিভিন্ন নিরাপত্তাগত কারণে নিজ ভূমি ছেড়ে বা আশ্রয়ের সন্ধানে অন্য কোন দেশে অস্থায়ীভাবে অবস্থানকৃত জনসমষ্টিকে শরণার্থী বলে।


২৪।কম্পিউটারের ড্রাইভ 'সি' থেকে শুরু হয় কেনো?

কম্পিউটারের শুরুর দিকে ইন্টারনাল স্টোরেজ না থাকায় স্টোরেজ হিসেবে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হত।পরবর্তী ১৯৮০ সালের দিকে ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে হার্ডডিস্ক আসলে 'C' দ্বারা বোঝানো হয়।বর্তমানে ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার শেষ হলেও এটা 'চ'- তেই ব্যবহৃত হচ্ছে।


২৫। চন্দ্রমুদ্রা বা Moon Money কী?

প্রাচীনকালে চীনে প্রচলিত এক ধরনের বিনিময় মাধ্যম হলো ' চন্দ্রমুদ্রা '।তামার তৈরি এ মুদ্রাটি দেখতে অর্ধ চন্দ্রাকার হওয়ায় এর এরূপ নামকরণ করা হয়।


২৬।খ্রিষ্টাব্দ কী?

যীশু খ্রিস্টের জন্ম থেকে গননা করা বর্ষপঞ্জী হলো খ্রিস্টাব্দ।


২৭। অববাহিকা বলতে কী বোঝায়?

ভূ-পৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গাঠনিক কারনে বা অন্যভাবে নিম্নভূমি স্মৃষ্টি হলে এবং সে নিম্নভূমি পলল ধারন করার উপযোগী অবক্ষেপণ মঞ্চে পরিণত হলে তাকে অববাহিকা বলে।


২৮। "সরকারি সফর" এবং "রাষ্ট্রীয় সফর" এর মধ্যে পার্থক্য কী? 

মন্ত্রিপরিষদ প্রধান

( প্রধানমন্ত্রী) - সফর হলো - রাষ্ট্রীয় সফর,

অন্যদিকে - সরকারের মন্ত্রী, এমপি, আমলাদের সফর হলো - সরকারি সফর ।


২৯। ১, ২, ৫ টাকার কয়েন গুলো কেন সরকারি মুদ্রা ?

১, ২, ৫ টাকার কয়েনগুলো সরকারি মুদ্রা কারণ এগুলোতে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থেকে আর বাকি নোটগুলোতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের । মূলত দেশের টাকা ছাপানোর দায়িত্ব হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের।

এজন্য ৫ থেকে ১০০০ হাজার টাকার নোট ছাঁপানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে যতটাকা ছাঁপাবে ততটাকার সমান টাকা বা gold বা ডলার মজুদ রাখতে হয় ফরেন রিভার্জ

সিরিকিউরিটি হিসেবে ।

অপর পক্ষে ১ ২ ও ৫ টাকার কয়েন ছাঁপানোর জন্য সরকারকে কোন Gold রিজার্ভ রাখতে হয় না । ফলে বহুল ব্যবহৃত এসব কয়েন সরকার ইচ্ছামতো পরিমাণে বানাতে পারে , এতে দেশের অনেক সময় মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যায়। 

সেজন্য বহুলব্যবহৃত এসব কয়েনকে সরকারি মুদ্রা বলা হয়।

মোবাইলে কিংবা ওয়েবসাইটে সহজে অটো পাশ HSC ফলাফল দেখার উপায়

 আজ শনিবার,৩০জানুয়ারি/২০২১ইং।

HSC অটো পাশ

করোনা মহামারির কারনে পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াই ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

আটো পাস

অটোপাশে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ শিক্ষার্থী। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬। যা গতবারের চেয়ে ১১৪৫২১ জন বেশি।

HSC ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। পরীক্ষা না হওয়ায় এবছর পাসের হার শতভাগ। 


ফলাফল নির্ধারনের নিয়মঃ

অষ্টম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষা ফলাফল এবং SSC ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে।


অটো পাশের রেজাল্ট সহজে দেখতেঃ

বরাবরের মতো এবারও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল থেকে SMS করে HSC ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।


মোবাইলে ফলাফল জানতেঃ

মোবাইল থেকে SMS অপশনে গিয়ে HSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। 

যেমনঃ (HSC DHA 123456 2020) send 16222

ফিরতি SMS এ  HSC ফল পাওয়া যাবে।


ওয়েবসাইটে ফলাফল জানতেঃ

www.educationboardresults.gov.bd



ওয়েবসাইটে ফলাফল জানতে ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে হবে। সর্বমোট ৬ টি অপশন থাকবে তারমধ্যে প্রথম ২টি অপশন অটো সিলেক্ট করা থাকবে যা নতুন করে সিলেক্ট করতে হবে না। পরের অপশনে বোর্ড নির্ধারন করে রোল এবং রেজিস্টেশন নম্বর লিখে caption পুরন করতে হবে। ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই কারন শেষ অপশনটি পুরনের জন্য বাম দিকে নমুনা থাকবে সেই অনুযায়ী পুরন করতে হবে।


মন্তব্যঃ

যদি কোন শিক্ষাথীর নিজের ফলাফলে দ্বিমত থাকে তাহলে ‘রিভিউ’ চাওয়ার সুযোগ রয়েছে।


আর কারিগরি বোর্ডের এইচএসসির ফল পেতে HSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।


উল্লেখ্য এই রেজাল্টে কেউ অবমূল্যায়ন কিংবা হেয় করবেন না কারন প্রথমত এই রেজাল্টটি কেউ ইচ্ছে করে প্রকাশ করে নাই। এটা মানতে হবে যে, আমাদের পরিবেশ ও পরিস্তিতি বাধ্য করেছে। নইলে আইন সংশোধনের প্রয়োজন হয়তো ছিলো না।


বেতন ও মজুরি সংক্রান্ত জাবেদা

 বেতন ও মজুরি সংক্রান্ত জাবেদা


hsc হিসাব বিজ্ঞানে বেতন ও মজুরি সংক্রান্ত অংক রয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীদের করতে হয়। যদিও তুলনামূলক বেতন ও মজুরির অংক একটু সহজ। অংকের সমাধান করতে হলে বেতন ও মজুরির উভয় অংকের ক্ষেত্রে উপার্জনসমূহ ও কর্তনসমূহ কি কি তা জানতে হয়। তারপর উপার্জন ও কর্তন বিয়োগ করলে অথবা, উপার্জনসমূহ হতে কর্তনসমূহ বাদ দিলে নীট বেতন কিংবা নীট মজুরি নির্নয় করা হয় যা প্রায় বোর্ড প্রশ্নে বেতন ও মজুরি অংক থাকে এবং নীট মজুরি কিংবা নীট বেতন নির্নয় করতে বলে।
তাছাড়াও বেতন কিংবা মজুরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জাবেদা লিখতে বলে তাই শেখা প্রয়োজন নইলে প্রশ্নের পূর্নাঙ্গ উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। Click Here

উল্লেখ্য যে, বেতন কিংবা মজুরি অংকের জাবেদা যে কোন একটি শিখলে দুটির শেখা হয়ে যায়। কারন জাবেদাগুলোতে বেতনের জায়গায় মজুরি কিংবা মজুরির জায়গায় বেতন লিখলেই হয়ে যায়।
 তাই নিম্নে বেতনসংক্রান্ত জাবেদা দেখানো হলোঃ

 (১) বেতন অনুমোদন করা হলে - 

বেতন হিসাব                       ডেবিট 
     প্রদেয় বেতন হিসাব       ক্রেডিট
(বিঃদ্রঃ ১ নং জাবেদায় অংকে মোট উপার্জনের টাকা যত আছে ততই হবে)

 (২) ভাউচার প্রস্তুত করা হলে -

  প্রদেয় বেতন হিসাব   ডেবিট
        ভাউচার হিসাব   ক্রেডিট
        কর্তসনমূহকে      ক্রডিট
(বিঃদ্রঃ ২ নং জাবেদায় ১ নং জাবেদার ন্যয় মোট উপার্জনের টাকা ডেবিট এবং ভাউচার হিসাবে ক্রেডিট হবে (মোট উপার্জন বিয়োগ মোট কর্তন) এর টাকা এবং অংকে যত কর্তন আছে সব কর্তন ক্রমানুসারে আনতে হবে তাদের টাকাগুলো ক্রেডিটে লিখতে হবে)

(৩) নীট বেতন প্রদান করা হলে -

প্রদেয় ভাউচার         ডেবিট
    নগদ/ব্যাংক          ক্রেডিট
(বিঃদ্রঃ ৩ নং জাবেদায় ২ নং জাবেদার ভাউচার হিসাবের টাকা আনতে হবে কিংবা নীট বেতনের টাকা আনতে হবে)

(৪) প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য -

প্রদেয় প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসাব    ডেবিট
      প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসাব       ক্রেডিট
(বিঃদ্রঃ ৪ নং জাবেদায় কর্তনসমূহের অন্তভূক্ত 
 প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আনতে হবে)


শেষকথাঃ আমরা প্রায় সময় অংক করি কিংবা বেতন ও মজুরি সংক্রান্ত জাবেদা লিখি কিন্তু কোন  জাবেদায় কত টাকা হবে এটা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলি তাই সর্তক থাকতে হবে।

ব্যক্তিবাচক হিসাব | সম্পত্তিবাচক হিসাব | নামিক হিসাব

আলোচ্য বিষয়ঃ

(১)  ব্যক্তিবাচক হিসাবের বিশদ আলোচনা।
(২) সম্পত্তিবাচক হিসাব এর বিশদ আলোচনা।
(৩) নামিক হিসাব এর বিশদ আলোচনা। 

ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে ব্যক্তিবাচক হিসাব, সম্পত্তিবাচক হিসাব, নামিক হিসাব কাকে বলে। এগুলো সম্প্রকে মোটামুটি ধারনা হয়েছে। ব্যক্তিবাচক হিসাবের কিভাবে ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়, সম্পত্তিবাচক হিসাবের কিভাবে ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়, নামিক হিসাবের ডেবিট ক্রেডিট কিভাবে নির্ণয় করতে হয় এগুলা আলোচনা করা হয়ে গেছে।

ব্যক্তিবাচক হিসাব, সম্পত্তিবাচক হিসাব, নামিক হিসাব এগুলো বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীর জানা আবশ্যক।
Cleck hear: https://ray296.blogspot.com


ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
ব্যক্তিবাচক হিসাব কে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।

(১) স্বাভাবিক ব্যক্তিবাচক হিসাব।
(২) কৃত্তিম ব্যক্তিবাচক হিসাব।
(৩) প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যক্তিবাচক হিসাব।



 স্বাভাবিক ব্যক্তিবাচক হিসাবঃকোন লেনদেনে কোন ব্যক্তির নামে হিসাব খোলা হয়েছে বুঝালে তাকে স্বাভাবিক ব্যক্তিবাচক হিসাব বলে।
যেমনঃ রহিমের হিসাব, সুমনের হিসাব, রায় হিসাব ইত্যাদি।


কৃত্তিম ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় অনেক ধরনের হিসাব সংঘটিত হয়ে থাকে। যখন কোন প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খোলা হয়, তাকে কৃত্রিম ব্যক্তিবাচক হিসাব বলে।
 যেমনঃরহিম স্টোর,সুমন মেসার্স রুপালী ব্যাংক ইত্যাদি।


প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও প্রতিনিধিমূলক হিসাব সংঘটিত হয়ে থাকে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে যে হিসাব খোলা হয়, তাকে প্রতিনিধিত্বমূলক হিসাব বলে।
 যেমনঃঅগ্রিম বেতন, বকেয়া ভাড়া ইত্যাদি।

সম্পত্তিবাচক হিসাবঃ

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যেসব সম্পদগুলো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করে সেই সেইসব উপাদানগুলোকে সম্পদ বলা হয়।সম্পদগুলোকে  বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হলোঃ


 স্পর্শনীয় সম্পদঃ

সাধারণত যেসব সম্পদ ধরা যায়, দেখা যায়, ছোঁয়া যায় সেই সব সম্পদগুলোকে স্পর্শনীয় সম্পদ বলে।
 যেমনঃ  দালানকোঠা, কলকব্জা, ভূমি ইত্যাদি।


অস্পর্শনীয় সম্পদঃ
যেসব সম্পদ ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, দেখা যায় না সেইসব সম্পদগুলোকে অস্পর্শনীয় সম্পদ বলে। যেমনঃ সুনাম, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি।


অলীক সম্পদঃ যে সমস্ত সম্পদের কোন বাজার মূল্য নেই  তাকে অলীক সম্পদ বলে।
যেমনঃশেয়ারবাট্টা, প্রাথমিক খরচ ইত্যাদি।



স্থায়ী সম্পদঃ
যেসব সম্পদগুলো এক বছরের অধিক সুবিধা প্রদান করে সেইসব সম্পদগুলোকে স্থায়ী সম্পদ বলে। যেমনঃ আসবাবপত্র, দালানকোঠা, কম্পিউটার ইত্যাদি।



চলতি সম্পদঃ
যে সমস্ত সম্পদের উপকারিতা এক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যায় সেইসব সম্পদগুলোকে চলতি সম্পদ বলে। যেমনঃ দেনাদার হিসাব, নগদান হিসাব ইত্যাদি।



দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগঃ
প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যেসব অর্থের প্রয়োজন তার থেকে বেশি অর্থ থাকলে সেই অর্থকে অলস টাকা বলা হয়। সেই অলস টাকা কে লাভের আশায় অন্য কারো দারায় খাটানো কে বিনিয়োগ বলে।
যেমনঃ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ।



অন্যান্য সম্পদঃ
উপরিক্ত সম্পদ ছাড়াও আরো কিছু সম্পদ আছে  সেইসব সম্পদ গুলো অন্যান্য সম্পদ ও সমন্বিত খরচ  হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
অথবা, কয়েকটি হিসাব কালের জন্য কিছু খরচ কে ভাগ করে দেখানো হলে সেই সব খরচ গুলোই অসমন্বিত খরচ বা অন্যান্য সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যেমনঃ বিলম্বিত বিজ্ঞাপন, প্রাথমিক খরচ, শেয়ারবার্তা ইত্যাদি।


নামিক হিসাবঃ
প্রতিষ্ঠান চালনা করতে বিভিন্ন ধরনের খরচ হয় এবং তার বিপরিতে আয় হয়ে থাকে সেই সব খরচ এবং আয় গুলোকে নামিক হিসাব বলে।

খরচগুলোর মধ্যে যেমনঃ বেতন হিসাব, বীমা হিসাব, অবচয় হিসাব, ঋণের সুদ ইত্যাদি।

আয়গুলোর মধ্যে যেমনঃ বিক্রয় হিসাব, লভ্যাংশ প্রাপ্তি হিসাব, প্রাপ্ত কমিশন, শিক্ষানবিশ সেলামি  বিনিয়োগের সুদ ইত্যাদি। 

কিভাবে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয় করা হয়

ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়ের নিয়মাবলী

হিসাববিজ্ঞানের শুরুতে হিসাব বিজ্ঞানের ইতিহাস, হিসাব বিজ্ঞানের জনক লুকা প্যাসিওলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর লেনদেন সম্পর্কে ধারণা নিতে গিয়ে প্রথমে ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা হয়েছে।

জানতে পারলাম যে, হিসাববিজ্ঞান প্রথমে কোন ঘটনা সৃষ্টি হবে সেই সব ঘটনা থেকে লেনদেন সৃষ্টি হবে। রাখা প্রয়োজন ঘটনা সৃষ্টি হলে লেনদেন হবে না বিষয়টি আর্থিক সম্পর্কিত হতে হবে। এটি একটি লেনদেনের গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য।

মনে রাখার সুবিধার জন্য বলা যেতে পারে,
 "সকল ঘটনাই লেনদেন নয়,
  সকল লেনদেন এই ঘটনা "

হিসাববিজ্ঞানের প্রাথমিক পর্যায়ের ঘটনার পরে লেনদেন এবং তারপর সেই সব লেনদেন গুলো নিয়েই ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়।
সুতরাং হিসাববিজ্ঞানের শুরুতে ঘটনা সম্পর্কে জানতে হবে তারপর লেনদেন সম্পর্কে জানতে হবে তারপর ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয় শিখতে হবে।


ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়মাবলীঃ


দুইটি পদ্ধতিতে ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করা হয়।

(১)  সনাতন পদ্ধতি।

(২)  আধুনিক পদ্ধতি।

সনাতন পদ্ধতিঃ
মূলত পুরাতন পদ্ধতিকেই সনাতন পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনেক আগে থেকেই প্রচলন। সনাতন কে অনুকরন করে আধুনিক পদ্ধতি সৃষ্টি করা হয়।

সনাতন পদ্ধতি কে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথাঃ

(১) ব্যক্তিবাচক হিসাব।
(২) সম্পত্তিবাচক হিসাব।
(৩) নামিক হিসাব।

ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সুবিধা গ্রহণ করে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ডেবিট করা হয় এবং কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সুবিধা প্রদান করে তাহলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ক্রেডিট করা হয়।

accounting,ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়

উদাহরণঃ
সোনালী ব্যাংকে হিসাব খোলা হল ১,০০০ টাকা।

এই লেনদেনের সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংক তাই সোনালী ব্যাংক হিসাবের ডেবিট এবং যেহেতু নগদে সুবিধা  প্রদান করেছে সে ক্ষেত্রে নগদান হিসাব ক্রেডিট।

সম্পত্তিবাচক হিসাবঃ
প্রতিষ্ঠানে কোন লেনদেনের ফলে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং সম্পত্তি হ্রাস পেলে ক্রেডিট করা হয়।

হিসাব বিজ্ঞান,accounting,ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়


উদাহরণঃ
যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হলো ৩,৫০০ টাকা।

 যেহেতু যন্ত্রপাতি সম্পত্তি হিসেবে আগমন হয়েছে বা বৃদ্ধি পেয়েছে সে ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি হিসাব ডেবিট এবং অন্যদিকে নগদ টাকা (সম্পদ) চলে গিয়েছে সে ক্ষেত্রে নগদান হিসাব ক্রেডিট।

নামিক হিসাবঃ
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন লেনদেন গুলোর মধ্যে যেসব লেনদেনগুলো ব্যয় খরচ বুঝায় এবং আয় মুনাফা বুঝায় সেইসব লেনদেনগুলো নিয়ে নামিক হিসাব গঠিত। ব্যয়/খরচ বুঝালে নামিক হিসাবে ডেবিট করা হয় এবং আয় মুনাফা বুঝালে নামিক হিসাবের ক্রেডিট করা হয়।


নামিক হিসাবে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয়

উদাহরনঃ


হিসাব সমীকরন(A=L+OE)

হিসাব সমীকরন (A=L+OE)


দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি

সংক্ষিপ্তভাবে যদি বলতে হয় তাহলে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার দুটি পক্ষ বিদ্যমান। আরেকটু বিশদ ভাবে যদি বলি
তাহলে এভাবে বলা যেতে পারে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান
হিসাব সমূহ বিজ্ঞানসম্মত উপায় দুইটি পক্ষ ডেবিট এবং ক্রেডিট এর মাধ্যমে হিসাব করা হয় এবং দাখিল অর্থ সমান হয়, তাকে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি বলে।
প্রসঙ্গত, দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতিতে ডেবিট এবং ক্রেডিট ব্যালেন্স সমান হয়ে থাকে।
১৪৯৪ সালে লুকাপ্যাসিওলি নামে একজন ইতালীয় পন্ডিত প্রথমে দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসারে লেনদেন লিপিবদ্ধ করণ এর নতুন নিয়ম আবিষ্কার করেন সেই থেকে লুকাপ্যাসিওলি কে হিসাব বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। Click Here:
উদাহরণস্বরূপঃ
মেশিন ক্রয় করা হলো ১,০০০ টাকা। একটি লেনদেন
এই লেনদেনের দুটি পক্ষ বিদ্যমান
একটি "যন্ত্রপাতি হিসাব" অপরটি "নগদান হিসাব"
সুতরাং এই লেনদেনটি দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত। দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতির মূল কথা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক লেনদেনের যত অর্থ ডেবিট করা হবে ঠিক সেই পরিমাণ অর্থ কেডিট করতে হবে।


হিসাব সমীকরণঃ

হিসাব সমীকরন খুবেই গুরুত্বপূর্ন বিষয়। হিসাব সমীকরন সম্প্রকৃত অংক প্রায় HSC প্রত্যেক পরীক্ষায় একটি করে আসে যা মনোযোগ সহকারে বুঝলে ১০ নম্বর পাওয়া সহজ হয়।

 সংঙ্গাঃ যে সমীকরণের মাধ্যমে গাণিতিক উপায় মোট সম্পত্তি সমান মোট দায় যোগ মালিকানা তহবিল সমান হয়, তাকে হিসাব সমীকরণ বলে।
সংক্ষিপ্তভাবে, (A = L + OE) কে হিসাব সমীকরন বলে। (A = L + OE) এটি হিসাব সমীকরনের সূত্র।এই সূত্র অনুসরন করে অংক করতে হয়। এই সূত্রের মাধ্যমে অংক করতে হলে A = Assets (সম্পদসমূহ) কি?, L = Liabilities (দায়সমূহ) কি?, এবং OE = Owners Equity (মালিকানাস্বত্ব) কি? এই গুলো সম্প্রকে বিশদ ধারনা থাকতে হবে। 


হিসাব সমীকরণ বিশদ আলোচনাঃ

সম্পদ সমূহঃ (assets) 
 যে সব জিনিসপত্র প্রতিষ্ঠানে মালিকাধীন থাকে এবং মুনাফা অর্জনের কাজে ব্যবহার করা হয় যেসব জিনিসপত্র সেগুলোকেই মূলত সম্পদ বলে।
  যেমনঃ আসবাবপত্র, কলকব্জা, দালানকোঠা, ব্যংক জমা, নগদ অর্থ ইত্যাদি।

  দায়সমূহঃ (Liabilities)

মূলত প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষ। এছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যংক ঋন কিংবা বাকিতে পন্য ক্রয় করা সংঘটিত হয়ে থাকে সেই সব কারনে প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় পক্ষ সৃষ্টি হয়।
প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় পক্ষের দাবি কে মূলত দায় বলে 
যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
যেমনঃ ঋন, ব্যাংক ঋন, প্রদেয় হিসাব, কর্জ ইত্যাদি।


মালিকানাস্বত্বঃ (Owners Equity)

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদ হতে তৃতীয় পক্ষের দাবি বাদ দিলে যা থাকে তাই মালিকানাসত্ত।
যদি সংক্ষিপ্তভাবে বলতে যাই তাহলে বলতে পারি এভাবে যে, মোট সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের উপর মালিকের দাবিকেই মালিকানা স্বত্ব বলে। যেমনঃ মূলধন।

মালিকানা তহবিলের সঙ্গে চারটি বিষ সম্পৃক্ত


  (১) আয়

  (২) ব্যয় বা খরচ

  (৩) মালিক কর্তৃক বিনিয়োগ
  (৪) উত্তোলন


প্রসঙ্গতঃ মনে রাখা প্রয়োজন যে, মালিকানাসত্ত দুই উপায় কমে, দুই উপায়ে বাড়ে।
নিচের ফটোতে তুলে ধরা হলোঃ


hsc accounting,raybd,হিসাব বিজ্ঞান

প্রতিষ্ঠানে ব্যয় কিংবা খরচ হয়
আর যদি পতিষ্ঠান থেকে মালিক উত্তোলন করে তাহলে মালিকানাসত্ত কমে।
যদি প্রতিষ্ঠান আয় হয় এবং মালিক কর্তৃক বিনিয়োগ করা হয় তাহলে মালিকানা স্বত্ব বাড়ে।
মালিকানা স্বত্ব কখন বাড়ে এবং কখন কমে এই বিষয়টা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা প্রয়োজন বিশেষ করে অংক করার ক্ষেত্রে।
মালিকানাস্বত্বের ক্ষেত্রে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় যা অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রী ভুল করে থা।। 
সুতরাং, মুখস্ত করে রাখা খুবই প্রয়োজন
  আয় হলে মালিকানা স্বত্ব বাড়ে।
  মালিক কর্তৃক বিনিয়োগ করলে মালিকানাস্বত্ব বাড়ে।
  ব্যয় কিংবা খরচ হলে মালিকানাস্বত্ব কমে।
  মালিক উত্তোলন করলে মালিকানাস্বত্ব কমে।


লেনদেন কি?
লেনদেন সম্পর্কে জানতে গেলে সর্বপ্রথম ঘটনা সম্পর্কে জানতে হবে। 
ঘটনা কি? কিভাবে ঘটে? কারণ লেনদেন ঘটনার সাথে সম্পূর্ণ পরিপূর্ণভাবে জড়িত। কেউ লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাইলে ঘটনা সম্পর্কে তার পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে।কারণ প্রথমে ঘটনা ঘটবে তারপর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেনদেনে পরিনত হবে।

ঘটনা কি?
ঘটনা হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা যে কোন সময় সংঘটিত হতে পারে।  যেমনঃ প্রতিদিন কাজকর্ম করা, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া, কলম ক্রয় করা ইত্যাদি।
তবে হিসাববিজ্ঞানে ঘটনাকে একটু ভিন্ন ভাবে বিবেচনা করা হয়। হিসাববিজ্ঞানের যেসব ঘটনাগুলো সংঘটিত হয় সেইসব ঘটনাগুলো অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য হতে হবে। আর যেসব ঘটনাগুলো অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য সেইসব ঘটনাগুলো লেনদেনে পরিণত হয়। 

আর সেজন্যই ঘটনাকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।     (১) আর্থিক ঘটনা। 
    (২) অনার্থিক ঘটনা।
আর্থিক ঘটনাগুলোর মধ্যে যেমনঃ আসবাবপত্র ক্রয়, আলমারি বিক্রয়, ব্যাংক হিসাব খোলা ইত্যাদি।

 অনার্থিক ঘটনাগুলো হচ্ছে অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপ যোগ্য নয়।  
যেমনঃ কোন প্রতিষ্ঠানে
একজন কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন,
পন্য ক্রয়ের জন্য ফরমায়েশ প্রদান করা হয় ইত্যাদি। 

এগুলো প্রত্যেকটায় ঘটনা তবে আর্থিক  কোনো সম্পর্ক যুক্ত না থাকায় অনার্থিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয় সুতরাং "সকল ঘটনাই লেনদেন নয়"

সুতরাং বলা যায় যে, অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য যেসব ঘটনা সেইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেনদেনের সৃষ্টি হয়। আর সেই সব ঘটনা গুলোকে আমরা লেনদেন বলি।

হিসাব বিজ্ঞান,hsc accounting,লেনদেন

লেনদেনের বৈশিষ্ট্যঃ
লেনদেনের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে সেইসব বৈশিষ্ট্য গুলো জানা থাকলে খুব দ্রুত চেনা যায় লেনদেন কি-না। সুতরাং লেনদেন সম্পর্কে জানতে গেলে লেনদেনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা থাকা অতি প্রয়োজন। 

(১) আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কোন ঘটনাকে লেনদেন বলা যাবে তখনই যখন ওই ঘটনাটা তে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। যদি আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে কিংবা আর্থিক সম্পর্কযুক্ত কোন ঘটনা যদি না হয় তাহলে সেই সব ঘটনাকে লেনদেন বলা যাবে না।

(২) অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।
যেসব ঘটনা গুলো অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য সেই সব ঘটনা গুলো  কে লেনদেন বলে।

(৩) দ্বৈত সত্তা
দ্বৈত সত্তা হচ্ছে দুইটি পক্ষ এখানে বলা হচ্ছে লেনদেনের দুটি পক্ষ থাকবে।
একটি আর্থিক ঘটনা দুইটি পক্ষ অবশ্যই থাকবে।
একটি ঘটনার দুটি পক্ষ যদি না থাকে তাহলে সেই ঘটনাকে কখনোই লেনদেন হতে পারে না।
  সুতরাং লেনদেন হতে গেলে দ্বৈত সত্ত্বা অবশ্যই থাকতে হবে।

(৪) প্রামাণ্য ঘটনা 
কোন ঘটনা লেনদেন হিসেবে বিবেচনা হতে হলে অবশ্যই প্রমান থাকতে হবে।
যেমনঃ কারবারের জন্য আসবাবপত্র ক্রয় করা হলে, ক্রয় রশিদ প্রদান করে থাকে যা প্রমাণ পত্র হিসেবে গণ্য করা হয়।


উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকলে লেনদেনের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে খুব সহজ হবে এবং সহজেই লেনদেন কি-না চিহ্নিত করতে পারব। এইসব বৈশিষ্ট্য গুলো অতি প্রয়োজনীয়।

হিসাব বিজ্ঞানের ইতিহাস ও জনক


হিসাব বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয় তথ্য ঃ

"সৃষ্টি কথা"

হিসাব বিজ্ঞানের ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই প্রাচীন। মানব সভ্যতা যতদিন থেকে চালু আছে খুব সম্ভবত ততদিন থেকে
হিসাব বিজ্ঞানের ইতিহাস বিস্তারিত।

হিসাববিজ্ঞান বর্তমানে যে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে তা হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি।
সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে
দ্বাদশ- ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইতালি কে কেন্দ্র করে বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

luca pacioli,raybd

তখনকার বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষণ চর্চা করত। 
১৪৯৪ সালে লুকাপ্যাসিওলি নামে একজন বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম লিখিত আকারে গ্রন্থ প্রকাশ করে।তিনি একজন ইতালীয় নাগরিক ছিলেন।
লুকাপ্যাসিওলি একজন গণিতশাস্ত্র  বিদ এবং পাদ্রী ছিলেন।

হিসাব বিজ্ঞান কাকে বলে?

বিভিন্ন গুনি ব্যক্তি বিভিন্ন ভাবে হিসাব বিজ্ঞানের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।

তা থেকে সহজ ভাবে বলা যায় যে,  হিসাব বিজ্ঞান হল একটি শাস্ত্র যা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থের অঙ্কে পরিমাপযোগ্য আর্থিক লেনদেন সমূহকে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে সুষ্ঠুভাবে  লেনদন লিপিব,, শ্রেণীবদ্ধ ও সংক্ষিপ্ত করণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা প্রকাশের উদ্দেশ্যে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে এবং এর বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণপূর্বক তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ প্রদান করে অন্যদিকে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ এর সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

অল্প কথায় বলা যায় যে, হিসাববিজ্ঞান হচ্ছে লেনদেন লিপিবদ্ধকর,, শ্রেণীবদ্ধকর,, সংক্ষিপ্তকরণের মাধ্যমে আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করার প্রক্রিয়া।

বর্তমানে হিসাববিজ্ঞান ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে
আদিমকালে মানুষ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিংবা মনগড়া পদ্ধতিতে হিসাব-নিকাশ করে থাকত সেই জন্য হিসাবের কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যাইত না কিন্তু বর্তমানে হিসাব বিজ্ঞানের কারণে বা হিসাব বিজ্ঞানের অবদানে সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আর্থিক তথ্য অতি সহজে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে আর্থিক ফলাফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জানা যায়। যা হিসাব বিজ্ঞানের আর্শবাদ স্বরুপ।

অংশিদারি ব্যবসায়ের উত্তোলন হিসাব নির্নয়

  কিভাবে উত্তোলনের সুদ নির্নয় করবেন

 ব্যবসায়ের অংক সমাধানের জন্য ৩ (তিন) টি পদ্ধতি রয়েছে।


 যথাঃ
১) স্থায়ী মূলধন পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের লাভ বা ক্ষতি যাহা-ই হোক না কেন মূলধনের পরিমান ঠিক থাকে। এই পদ্ধতিতে অংকের তিনটি অংশ থাকে
 যথাঃ-
ক) অংশীদারদের লাভলোকসান বন্টন হিসাব

খ) অংশীদারদের মূলধন হিসাব

গ) অংশীদারদের চলতি হিসাব

২) পরিবর্তনশীল মূলধন পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের লাভ বা ক্ষতির সাথে সাথে মূলধনের পরিমান হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে। এই পদ্ধতিতে অংকে করতে দুইটি অংশ থাকে। 
যথাঃ
ক) অংশীদারদের লাভলোকসান বন্টন হিসাব

খ) অংশীদারদের মূলধন হিসাব

৩) পুন:সমন্বিত মূলধন পদ্ধতি
এর জন্য পুন:সমন্বিত মূলধন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। 

এই পদ্ধতিতে অংক সমাধানের তিনটি অংশ থাকে যথাঃ-
ক) প্রারম্ভিক মূলধনঃ মূলত মূলধনের সুদ নির্ণয় করার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন নির্ণয় করে নিতে হয়।
খ) পুন: সমন্বিত লাভলোকসান বন্টন হিঃ বাদ পড়া আয় বা ব্যয়ের সাহায্যে এই হিসাবটি তৈরি করা হয়।
গ) পুন:সমন্বিত মূলধন হিসাবঃ পূর্বে নির্ণীত সমাপনী মূলধনের সাথে বাদ পড়া আয় বা ব্যয় সমন্বয় করে এই হিসাবটি তৈরি করা হয়।


অংশীদারী সংগঠনের অংকগুলো সমাধানের জন্য নিন্মের কতিপয় গুরত্বপূর্ন বিষয় ভালো করে মনে রাখতে হবে।
 ১) মুনাফা বন্টনের হার দেওয়া না থাকলে সমান হারে বন্টন করতে হবে।

২) ঋনের উপর সুদের হার দেওয়া না থাকলেও ৬% হারে সুদ ধরতে হবে।

৩) বেতন উত্তোলন করেছে বলা থাকলে মূলধন হিসাবে যাবে না। বেতন ডেবিট/ চার্জ করা হয়েছে বলা থাকলে লাভ- লোকসান বন্টন হিসাবে যাবে না।

৪) বেতন আংশিক কারবার হতে আর আংশিক ব্যাক্তিগত ভাবে পরিশোধ করা হলে কারবারের অংশ টুকু লাভলোকসানে ও মূলধন হিসাবে যাবে আর ব্যাক্তিগত অংশটুকু শুধুমাত্র মূলধন হিসাবে যাবে।

৫) উত্তোলনের উপর সুদ ধরতে বললে, উত্তোলনের তারিখ দেওয়া না থাকলে ৬ মাসের সুদ ধরতে হবে।

উত্তোলনের সুদ ধার্য করার নিয়ম:

১) মাসের শুরতে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন সুদের হার  ৬.৫ মাসের।

২) মাসের মাঝে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন সুদের হার  ৬ মাসের।

৩) মাসের শেষে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন ঢ সুদের হার  ৫.৫ মাসের।

৪) ৩ মাস পর পর উত্তোলন করলে, উত্তোলন  সুদের হার  ২.৫
৫) প্রতি দেড়মাস পর পর উত্তোলন করলে ১.৫ মাসের সুদ ধার্য করতে হবে।

উপরিউক্ত নিয়ম গুলো জানা থাকলে তবেই উত্তোলের সুদ নির্নয় করা সম্ভব এবং নির্ভুল হবে।

অংশিদারি ব্যবসায় বেতন ডেবিট করার পর

অংশিদারি ব্যবসায়ে বেতন ডেবিট করার পর নীট লাভ থাকলেে কোথায় দেখাবেন আর কোথায় দেখাবেন না?

আমরা একটু ভুলের জন্য অংকটা ভূল করে থাকি
বেতন ডেবিট করার পর যদি নীট লাভ দেয়া থাকে তাহলে
(লাভ-লোকসান হিসাব) করার সময় বেতন হিসাব আর
ডেবিট করবো না কারন প্রশ্নে বলে দিয়েছে ডেবিট করা
হয়েছে।

যদি আবার ডেবিট করি তাহলে ডাবল ডেবিট হবে আর
ডাবল ডেবিট হলে অংক ভূল হবে।

আবার, লাভ-লোকসান হিসাবে বেতন হিসাব ডেবিট
করবো না জন্যে আংশিদারদের মুলধন হিসাবে ডান
পাশে বেতন হিসাব আনবো না এমনটা কিন্তু নয়। যদি
বেতন হিসাব না আনি তাহলে অংক ভূল হবে।

তারমানে, লাভ-লোকসান হিসাবে বেতন হিসাব আসবে
না,
অংশিদারদের মূলধন হিসাবে বেতন হিসাব আসবে।

উপরিউক্ত নিয়ম মেনে চললে আংশিদারি ব্যবসায়ের অংক (সমন্বয়ঃ বেতন ডেবিট করার পর) ছাত্র-ছাত্রী নির্ভুলে অংক করতে পারবে। বেতন ডেবিট করার পর সমন্বয় উল্লেখ থাকলে সহজেই বুঝে অংক করা সম্ভব। 

সাধারন জাবেদা

জাবেদা (Journal)

ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করার সময় অবশ্যই
রাখতে হবে ---
ডেবিট ও ক্রডিট নির্নয়ের পদ্ধতি ২ প্রকার যথাঃ
(১) সনাতন পদ্ধতি
(২) আধুনিক পদ্ধতি
সনাতন পদ্ধতিতে ৩(তিন) ভাবে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্নয় করা হয়।
(ক) ব্যক্তিবাচক হিসাবে
            ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সুবিধা গ্রহন করে কিংবা টাকা গ্রহন করে তাহলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে - - -ডেবিট।
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সুবিধা প্রদান করে কিংবা টাকা প্রদান করে তাহলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে - - -ক্রডিট।
উদাহরনঃ
(১) ব্যাংক হিসাব খোলা হলো ৫০০০ টাকা
(২) ব্যাংক হতে উত্তোলন ৩০০০ টাকা
প্রথম জাবেদাঃ
        ব্যাংক হিসাব - - - - -  ডেবিট
            নগদান হিসাব - - - ক্রডিট
#এখানে ব্যাংক সুবিধা গ্রহন কিংবা টাকা পাইছে তাই "ব্যাংক হিসাব ডেবিট" কারন যেকোন ব্যাংকে হিসাব খুলতে হলে টাকা প্রদান করতে হয়, অন্যদিকে আমাদের প্রতিষ্ঠান সুবিধা প্রদান করেছে এবং সেই সুবিধা নগদে প্রদান করায় "নগদান হিসাব ক্রেডিট"।
বিঃ দ্রঃ আমরা যে প্রতিষ্ঠানের অংক করি-না কেন অংক করার সময় প্রতিষ্ঠানটি নিজের ভাবতে হবে নইলে "চুলকি ঘা" হবে মানে অংক সঠিক হবে না।

দ্বিতীয় জাবেদাঃ
       নগদান হিসাব - - - - - ডেবিট
           ব্যাংক হিসাব - - - - ক্রেডিট
# প্রয়োজনে ব্যাংকে টাকা জমা যেমন রাখতে পারি ঠিক তেমনি প্রয়োজনে টাকা উত্তোলন করতেও পারি।
# টাকা উত্তোলনের সময় আমাদের প্রতিষ্ঠান সুবিধা নগদে গ্রহন করায় নগদান হিসাব ডেবিট অন্যদিকে ব্যাংক প্রতিষ্ঠান সুবিধা প্রদান করায় ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট করেছি।

(খ) সম্পত্তিবাচক হিসাব

সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলে  - - - ডেবিট
সম্পত্তি হ্রাস পেলে - - - ক্রেডিট
উদাহরনঃ
  (১) যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হলো ১০,০০০ টাকা
           যন্ত্রপাতি হিসাব - - - - - ডেবিট
                নগদান হিসাব - - - ক্রডিট
# যন্ত্রপাতি হচ্ছে সম্পদ।আমাদের প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ক্রয় করায় প্রতিষ্ঠানে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তাই যন্ত্রপাতি হিসাব ডেবিট অন্যদিকে সম্পদ ক্রয় করতে নগদ টাকা/ নগদ সম্পদ হ্রাস পেয়েছে তাই নগদান হিসাব ক্রডিট করা হয়েছে।

(৩) নামিক হিসাব

      ব্যয়/ক্ষতি হিসাব - - - ডেবিট
      আয় হিসাব  - -  -  - - ক্রডিট
আয় বা ব্যয় সংক্রান্ত লেনদেনগুলোকে নামিক হিসাব বলে।কোন লেনদেনে ব্যয়/ক্ষতি বুঝালে সেই ব্যয়/ ক্ষতি হিসাবে ডেবিট, অন্যদিকে আয় হলে ক্রেডিট করতে হবে।
উদাহরনঃ
    (ক) ভাড়া প্রদান করা হলো ৭০০ টাকা
    (খ) বিক্রয় করা হলো ৮০০০ টাকা
প্রথম জাবেদাঃ
  ভাড়া হিসাব - - - - - ডেবিট
       নগদান হিসাব - - ক্রডিট
# আমাদের প্রতিষ্ঠান ভাড়া প্রদান করায় এটি একটি ব্যয় তাই ভাড়া হিসাব ডেবিট, অন্যদিকে ভাড়া নগদে প্রদান করায় নগদান হিসাব ক্রেডিট করা হয়েছে।
দ্বিতীয় জাবেদাঃ
   নগদান হিসাব - - - - -  ডেবিট
        বিক্রয় হিসাব - - - -  ক্রেডিট
# এখানে প্রতিষ্ঠান নগদে বিক্রয় করায় নগদান হিসাব ডেবিট, অন্যদিকে বিক্রয় এক প্রকার আয় তাই আয় হিসাবে বিক্রয় ক্রেডিট করা হয়েছে।

(আংশিক)